মিষ্টি দইঃ
আসসালামু আলাইকুম । আজকে আমি মিষ্টি দই এর রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি সহজ উপায়ে দৈটি বানিয়ে দেখাতে । মিষ্টি দৈ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি মিষ্টি । মিষ্টি দৈ এর কথা আসিলে, সবার আগে আসে বগুড়ার কথা। বগুড়া জেলার মিষ্টি দই এর গুনাগুন সারা বাংলাদেশ জুড়ে। আমার রেসিপিটি যদি অনুসরণ করেন , তাহলে আপনাদের দই এর স্বাদ বগুররার দই এর থেকে কোন অংশে কম হবেনা।
উপকরণঃ
টক দই-পানি ছেকে নেওয়া ২ কাপ
ঘন দুধ - ১ কাপ
কনদেন্সমিল্ক -১ কাপ
পদ্ধতিঃ
প্রথমে একটা পাত্র নিয়ে ছেকে নেওয়া টক দই নিয়েছি । দই টাকে ভাল করে মিশিয়ে নেব। ২ থেকে ৩ মিনিট ভাল করে মিসিয়ে নেব। এরপর দিয়ে দেব ১ কাপ ঘন দুধ । দুধটাকে আস্তে আস্তে মিসাতে হবে , একবারে ঢেলে দেয়া জাবেনা। দুধটা অনেক বেশি ঘন করা যাবেনা। দুধ ৩/৪ টা বলক উঠায়ে অনবরত নেড়ে চেড়ে উষ্ণ গরম অবস্থায় দিয়ে দিতে হবে। যদি দুধ জাল দিয়ে ঘন করতে না চান । তাহলে সাধারণ তাপমাত্রায় থাকা দুধ এর ভিতর.২ টেবিল চামচ গুড়া দুধ মিশিয়ে নিলেই হবে।
এরপর দিয়ে দিতে হবে ১ কাপ কনডেঞ্চমিল্ক । কনডেঞ্চমিল্ক এর পরিবর্তে এখানে যার যার পছন্দ অনুযায়ী চিনি দিতে পারেন । তবে কনডেঞ্চমিল্ক এর যে স্বাদ সেটা চিনিতে কিন্তু আসবেনা। এবার সমস্ত উপকরন ভাল করে মিশাতে হবে । দিয়ে দিতে হবে একটু খাবারের কমলা রঙ । তবে যারা রঙ পছন্দ করেন্না এটা বাদ দিতে পারেন। এবার দই এর বেটার কে একটি ছাকনি দিয়ে ছেকে একটি মাটির পাত্রে নিয়ে নেব । মাটির পাত্রের পরিবর্তে যেকোনো ওভেনপ্রফ পাত্র নিলেই হবে। এবার ওভেনটিকে ১৮০ ডিগ্রি সেঃ তাপমাত্রায় আগে থেকে হিট করে রাখতে হবে।এবার দই এর পাত্রটিকে ওভেন এর ভিতর ঢুকিয়ে ১৫০ ডিগ্রি সেঃ তাপমাত্রায় রেখে ১০ মিনিট পরে ওভেনটি অফ করে দিতে হবে। অভেন এর দরজা কিন্তু খোলা যাবেনা। এভাবে রেখে দিতে হবে ৪/৫ ঘণ্টা । যদি চুলাতে বানাতে হয় সেক্ষেত্রে দই এর পাত্র ভিতরে বসে এমন একটা পাতিল এর ভিতর পরিমান মত বালু নিয়ে উচ্চ তাপমাত্রায় গরম করে রাখতে হবে এবং দই এর পাত্রটা ভিতরে বসিয়ে একদম তাপমাত্রা কমিয়ে জাল দিতে হবে ১০ মিনিট । চুলাটি বন্ধ করে এভাবে চুলার উপরে রেখে দিতে হবে ৪/৫ ঘণ্টা । তবে অবশ্যই ঢাকনা দিয়ে পাতিল ঢেকে রাখতে হবে। দেখলেন তো কত সহজে বানানো যায় সবার প্রিও মিষ্টি দৈ । আর স্বাদে দোকানের দই ওঃ হার মেনে যাবে।
No comments:
Post a Comment